মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা আলোচনায় তাদের ‘সহযোগিতার পদ্ধতি বদলাচ্ছে’ এবং আর ‘বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে গিয়ে বৈঠকে’ অংশ নেবে না।রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দীর্ঘ যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা আর ইউক্রেইন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতা করবে না।মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা আলোচনায় তাদের ‘সহযোগিতার পদ্ধতি বদলাচ্ছে’ এবং আর ‘বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে গিয়ে বৈঠকে’ অংশ নেবে না।
“আমরা সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো, তবে আমরা আর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে গিয়ে বৈঠক করবো না,” বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ।যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেইনের মধ্যে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার দিনকয়েকের মধ্যে ওয়াশিংটন শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতা থেকে পিছু হটল। ডনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেইনে অস্ত্র সরবরাহে তার প্রশাসনকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন বলেও খবর বেরিয়েছে।ক্ষমতায় বসার আগে, এমনকী শুরুর মাসগুলোতেও ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্প ইউক্রেইনকেই সবচেয়ে বেশি দোষারোপ করেছেন, শান্তি আলোচনায় তারাই বাধা দিচ্ছে বলে বারবার অভিযোগও করেছিলেন। তবে সম্প্রতি তার সুর খানিকটা নরম হয়েছে। উল্টো পুতিনের ওপর তার হতাশা বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
ক্রেমলিন কিইভের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করলেও, গত সপ্তাহে তারা যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া একটি শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ওই প্রস্তাবে ইউক্রেইনের যে যে এলাকা মস্কোর কব্জায় রয়েছে সেগুলোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ছিল না।
এদিকে ইউক্রেইন বারবারই বলেছে তারা তাদের ভূমির দাবি ছাড়বে না; সেগুলোকে রাশিয়ার বলে স্বীকৃতি দিয়ে পুতিনকে তার আগ্রাসনের জন্য পুরস্কৃত করাটাও ঠিক হবে না। যুদ্ধপূর্ববর্তী ইউক্রেইনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশের নিয়ন্ত্রণই এখন মস্কোর বাহিনীর হাতে।
ট্যামি ব্রুস বলেছেন, মস্কো ও কিইভকে এখন যুদ্ধ বন্ধে ‘সুনির্দিষ্ট’ প্রস্তাবনা হাজির করতে হবে এবং সংঘাত বন্ধে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে হবে।পরিস্থিতি এখন যা, তাতে এই যুদ্ধ যে ‘সহসা শেষ হচ্ছে না’ মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও বৃহস্পতিবার তা স্বীকার করে নিয়েছেন।
“উভয় পক্ষই শান্তি প্রতিষ্ঠায় অপরের শর্তগুলো কী তা জানে এবং এখন চুক্তিতে আসা এবং এই নৃশংস, নৃশংস সংঘাত বন্ধ করাটা পুরোপুরি তাদের ওপর নির্ভর করছে।
“ইউক্রেনীয়দের ক্ষেত্রে, হ্যাঁ, তারা অবশ্যই রাগান্বিত হতে পারে যে তারাই তো আক্রান্ত, কিন্তু আমরা কি কয়েক মাইল অঞ্চল জুড়ে এইভাবে বা অন্যভাবে হাজার হাজার সৈন্য হারাতে থাকবো?” ফক্স নিউজকে এমনটাই বলেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।